গাজীপুর জেলার পূর্বপ্রান্তে কাপাসিয়া উপজেলাধীন ঘাগটিয়া ইউনিয়নেরপ্রাণকেন্দ্রে অবস্থিতবিদ্যালয়টি কাপাসিয়া মনোহরদী এবং আড়াল-আড়ালিয়ারাস্তার সংযোগ স্থলে ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে অবস্থিত।বিদ্যালয়টির সন্নিকটে একটি বাজার, হাসপাতাল, মহিলা কলেজ, ব্যাংক, পোস্টঅফিস, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা রয়েছে। বিদ্যালয়টি ২ একর ৩৭শতক জমির উপর দক্ষিন মুখী বিরাট দ্বিতল ভবন, খেলার মাঠ, বিজ্ঞান ভবন ওঅত্যাধুনিক ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি সুসজ্জিত পাঠাগারসমেত আধুনিক ও ডিজিটাল পাঠদানের যুগোপযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টিতেএস.এস.সি, জে.এস.সি ও পি.এস.সি পরীক্ষার কেন্দ্র বিদ্যমান আছে। তদুপরি বিগতবৎসরগুলোতে জে.এস.সি ও এস.এস.সি শতভাগ পাশ ও জুনিয়র বৃত্তিসহ পাবলিকপরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে উপজেলার একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্টানে উপনীতহয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় নয়শত।
১৯৪৬ ইং সনে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের এম.এল.এ ও পাকিস্তান মন্ত্রী পরিষদের সদস্য জনাব মরহুম আলহাজ্ব ফকির আবদুল মান্নান এর নেতৃত্বে স্থানীয় হিতৈষী ও শিক্ষানুগারী মরহুম ডা: আবদুল আউয়াল, মরহুম নায়েব আলী পন্ডিত, মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আলী আকন্দ, মরহুম আবু সাঈদ মিয়া, মরহুম আলহাজ্ব আ: গফুর, মরহুম বুরুজ আলী পন্ডিত, মরহুম আব্বাস উদ্দিন মাঝি, মরহুম শরীয়ত উল্লাহ আকন্দ, মরহুম কেমর উদ্দিন সহ আরো স্থানীয় গন্যামান্য যুব সম্প্রদায়ের নিরলস শ্রম ও সাধনায়অত্র প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুর জেলায় কাপাসিয়া উপজেলায় সর্ব পূর্ব প্রান্তে মৃদু প্রবাহমান বানার নদীর পশ্চিম তীরে তৎকালীন অজ পাড়া গাওয়ের অস্থিচর্মশার বুভুক্ষ গনমানুষের সন্তানদের শিক্ষার আলোক বর্তিকা হিসাবে অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্নের পর হতে বহু চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে প্রয়াত প্রধান শিক্ষক মরহুম হাজী আলহাজ্ব এম.এম আনসার আলী মহোদয়ের সুদক্ষ পরিচালনায় নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে ১৯৬১ সন পর্যন্ত পরিচালিত হয়। ১৯৬২ ইং সন হইতে উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু কের ১৯৬৭ সনে উচ্চ বিদ্যালয়হিসাবে প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। অজ পাড়াগাঁর অত্র প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্রতার কষাগাতে পেরিয়ে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে আসে। পুনরায় আশির দশকে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব ফকির আবদুল মান্নান সাহেব বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব ভার গ্রহন করে নিজ অর্থায়নে জমি ক্রয় এবং বিদ্যালয় সংলগ্ন ভূপতিগনের নিকট হতে দান হিসাবে জমি গ্রহন এবং নিজ অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করেন। পরবর্তী প্রজম্মের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রথম এর্টনী জেনারেল মরহুম ফকির সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ এর পৃষ্ঠপোষকতায় পোষ্ট মাষ্টার আবু তাহের, ফকির সিরাজুল হক, মো: ইসমাইল হোসেন সহ আরো কিছু নিবেদিত প্রান শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগনের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি আরো প্রানবন্ত হয়। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পাটমন্ত্রী ব্রিগে: জেনা: (অব:) আ.স.ম হান্নান শাহর অনুদানে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বিচারপতি আলহাজ্ব শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে ও সুযোগ্য পরিচালনা এবং দিক নির্দেশনায় পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যগনের আন্তরিকতায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আনারুজ্জামানের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ও কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীগনের নিরলস শ্রম ও প্রচেষ্টায় অত্র বিদ্যালয়টি কাপাসিয়া উপজেলায় একটি স্বনামধন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলায় জুনিয়র বৃত্তি ২০১৩ ট্যালেন্টপুলে ছেলেদের কোঠায় শীর্ষস্থান এবং এস.এস.সি ২০১৪ পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ জি.পি.এ ৫ উপজেলায় ১ম স্থান। উপজেলা। উপজেলা ভিত্তিক সহপাঠ ক্রমিক কার্যক্রমে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ও সাফল্য অর্জন।
অর্জিত সাফল্য অব্যাহত রাখা এবং উত্তরত্তোর সাফল্য বর্ধনের চেষ্টা সহ অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টিকে কলেজে রূপান্তর করা।
সড়ক পথে ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা হয়ে কাপাসিয়া ফকির মজনু শাহ সেতু পার হয়ে কাপাসিয়া টু মনোহরদী রাস্তায় ঘাগটিয়া চালার বাজার সংলগ্ন এবং গুলিস্তান থেকে নরসিংদী হয়ে মনোহরদী উপজেলার পশ্চিম দিকে মনোহরদী-মহাখালী সড়কপথে চালার বাজার সংলগ্ন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস